🍯 খেজুর গুড় — বৈশিষ্ট্য, তৈরি প্রক্রিয়া, উপকারিতা ও সংরক্ষণ
🌿 খেজুর গুড়ের বৈশিষ্ট্য
সম্পূর্ণ নিজস্ব তত্ত্বাবধানে খেজুরের রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরী করা হয়।
- যেকোন ধরনের রাসায়নিক ও কেমিক্যাল মুক্ত।
- ফরিদপুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের খেজুরের গাছের রস থেকে প্রস্তুতকৃত।
- প্রতিটি গাছ থেকে ৪–৫ দিন অন্তর অন্তর রস সংগ্রহ করা হয় বলে রস এবং গুড়ের মান সর্বোৎকৃষ্ট।
- পাটালি গুড়, দানাদার ঝোলাগুড় এবং ঝোলাগুড়—এই তিন ধরনের গুড় Mridha Bazar সরবরাহ করছে।
- সবধরণের গুড়ই ৫০০ গ্রাম এবং ১ কেজির নিরাপদ প্যাকেজিংয়ে পাওয়া যাচ্ছে।
🏡 খেজুর গুড় তৈরি প্রক্রিয়া
নভেম্বর থেকে মধ্য মার্চ পর্যন্ত গাছে কলসি বাঁধার মাধ্যমে শুরু হয় খেজুর গুড় তৈরির প্রক্রিয়া। গাছের ছাল ছিলে মাটির হাড়ি বাঁধা হয় এবং কাপড়ে ঢাকা হয় যাতে পোকামাকড় ঢুকতে না পারে। রস সংগ্রহ শেষে তা পরিষ্কার পাত্রে ঢালা হয় এবং নিজস্ব তত্ত্বাবধানে গুড় তৈরি করা হয়।
রস বড় পাত্রে নিয়ে মাটির চুলায় জ্বাল দেওয়া হয়। মাঝারি আঁচে ধীরে ধীরে রস ঘন করা হয়। রস পুড়ে না যায় এজন্য সাবধানতার সঙ্গে ফেনা তুলে ফেলা হয়। এই ধৈর্যের কাজটিই গুড়ের স্বাদ ও মান নির্ধারণ করে।
💪 খেজুর গুড়ের উপকারিতা
- প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়ক।
- ওজন কমাতে ও হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- শরীর গরম রাখতে ও সর্দি-কাশি কমাতে উপকারী।
- হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করে।
🍪 খেজুর গুড়ের ব্যবহার
- পিঠা-পায়েশ তৈরি: বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলি তৈরিতে খেজুর গুড় অপরিহার্য।
- মিষ্টি তৈরি: নারিকেলের নাড়ু, গুড় সন্দেশসহ বিভিন্ন মিষ্টিতে ব্যবহৃত হয়।
- দৈনন্দিন খাবারে: চা, পায়েশ বা ভাতের সঙ্গে খাওয়া যায় — চিনি ও মধুর বিকল্প হিসেবে।
🏺 খেজুর গুড় সংরক্ষণ
- পাত্র: মাটির পাত্র বা কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করা উত্তম।
- স্থান: শীতল ও শুকনো স্থানে রাখতে হয়; আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে।
- তাপমাত্রা: ঠান্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করলে গুড়ের গুণগত মান দীর্ঘদিন বজায় থাকে।
Mridha Bazar থেকে ১০০% খাঁটি খেজুর রসের গুড় সংগ্রহ করুন — রাসায়নিকমুক্ত, প্রাকৃতিক ও বিশুদ্ধ বাংলার আসল স্বাদ।


0 Reviews:
Post Your Review